~ কলমে এলেবেলে নির্মাল্য ~
প্রেম কারো জীবনে আসে ‘নিঃশব্দ চরণে’, কারো জীবনে আসে ‘ভাঙনের পথে’। কিন্তু সে আসে। কেউ ‘সুখের লাগি চাহে প্রেম’, কারো মনে প্রশ্ন প্রেম কি ‘কেবলই যাতনাময়’? তবু এই যাতনা-দুঃখ-সুখ-বিষাদ সব মিলিয়েই প্রেম। এবার ‘রজকিনী-প্রেম নিকষিত হেম, কামগন্ধ নাই তায়’ অর্থাৎ রোমান্টিক প্রেম আর ‘শরীর, শরীর, তোমার মন নাই কুসুম’ অর্থাৎ দেহজ কামনার মধ্যে আমরা সকলেই জানি একটু সূক্ষ্ম সীমারেখা আছে। সেটা সাহিত্য, সমাজে, মনন-দর্শনে যেমন আছে, সেরকম প্রেমের রসায়নেও আছে। রসায়ন এখানে আলঙ্কারিক হিসেবে নয়, আক্ষরিক হিসেবেই বলা। আমরা কেন প্রেমে পড়ি, কেন প্রেমে পড়লে প্রেমাস্পদের কথাই মনে হয় সর্বদা, কেন তার কথা ভেবে ভাল লাগে, কেন প্রেমে পড়লে বুদ্ধিমান মানুষও বোকা বোকা আচরণ করে, কেন প্রেমাস্পদকে দেখলে আমাদের হৃদস্পদন দ্রুত হয়? এসবেরই কাব্যিক দিক যেমন আছে, সেরকম আছে আমাদের মস্তিষ্কে বিভিন্ন রাসায়নিকের খেলা। সুফি সাধনায় প্রেমকে (এক্ষেত্রে ঈশ্বর আর জাগতিক প্রেম একাকার) সাতটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়ে থাকে— দিলকশি (আকর্ষণ), উনস (মোহ, বা infatuation), ইশক্ (প্রেম), আকিদত (বিশ্বাস), ইবাদত (পূজা), জুনুন (উন্মাদনা), মওত (মৃত্যু)। এই সাতটি পর্যায় খুব সুন্দর ভাবে নিউরো-বায়োকেমিস্ট্রি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়।
প্রেমাস্পদকে কাছে পেলে মাদক নেবার মতই ফূর্তি, ‘ফিল গুড’ ‘ফিল গুড’ ভাব, আর প্রেম জীবন থেকে চলে গেলে ড্রাগাসক্তদের মতই আলস্য, অনিদ্রা, খিদে না থাকা, বিরক্তি, দীর্ঘস্থায়ী একাকীত্ব।
দিলকশি বা প্রাথমিক আকর্ষণের সূত্রপাত হয় দর্শনে, বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় তা হল Visual Input। এবার কণ্ঠস্বর, প্রজ্ঞা, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ইত্যদিও জড়িত নয়, তা নয়, তবে রূপটিই আসে আগে। এবার রূপের কোন সংজ্ঞা নেই। কার কাকে সুন্দর বা সুন্দরী মনে হয়, সেটা নির্ভর করে তার ধারণা, অভিজ্ঞতা, বেড়ে ওঠা, বাবা-মায়ের প্রভাব, বা এ জীবনে কার কার সাথে দেখা হল এসবের ওপর। প্রেমের পরের ধাপ উনস (মোহ, বা infatuation)। সারাক্ষণ মনে পড়ছে তার কথা, ভাবতে ভাল লাগছে তার কথা, দেখতে ইচ্ছে করছে সর্বদা, না দেখতে পেলে অসহ্য কষ্ট। এসবই কিন্তু মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চল আর মস্তিষ্কের কয়েকটি রাসায়নিক (Neuro-Chemical)-র কারসাজি। মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চলে আছে আমাদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা (Reward system)। প্রেমে পড়লে যে প্রবল উচ্ছ্বাস, প্রবল আনন্দ ইত্যাদি সহযোগে এক তুরীয় অবস্থা প্রাপ্ত হয়, তার মূলে আছে, সে সব অঞ্চলে একটি নিউরো-রাসায়নিক ডোপামিনের ক্ষরণ। পুরস্কার, কামনা, নেশা, উচ্ছ্বাস, বা কোন খাবার খেয়ে ভাল লাগা, এসবের পেছনেই থাকে ডোপামিনের প্রভাব। বিভিন্ন মাদক নিলেও একই ধরণের ফূর্তি হয়, তার কারণও ওই ডোপামিন। নেশা আর প্রেমের প্রথমদিকে অনেক মিল থাকে। গীতিকাররা যে প্রেমকে নেশা বলেন, তা জীবরসায়নের দিক থেকেও ভুল নয়। প্রাথমিক ভাবে মস্তিষ্কের একই অঞ্চল এর জন্য দায়ী। প্রেমাস্পদকে কাছে পেলে মাদক নেবার মতই ফূর্তি, ‘ফিল গুড’ ‘ফিল গুড’ ভাব, আর প্রেম জীবন থেকে চলে গেলে ড্রাগাসক্তদের মতই আলস্য, অনিদ্রা, খিদে না থাকা, বিরক্তি, দীর্ঘস্থায়ী একাকীত্ব। যদিও রোমান্টিক প্রেম এবং মাদকের আসক্তি প্রাথমিক পর্যায়ে একই, তবে পরবর্তী পর্যায়ে এগুলি পৃথক, কারণ সম্পর্কটি এগোবার সাথে সাথে আসক্তির বৈশিষ্ট্য ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যায়। সম্পর্ক তখন নির্ভরতার দিকে এগোয়। উল্টোদিকে, মাদক আসক্তির বৈশিষ্ট্যগুলি ধীরে ধীরে ওষুধের ব্যবহারের সাথে বাড়তে থাকে। এমনকি প্রেমে প্রত্যাখ্যানের পরেও বা বিচ্ছেদের পরেও যে ক্রমাগত প্রাক্তনকে পিছু ধাওয়া করা (Stalking), তার পেছনেও আছে ডোপামিনের প্রভাব। ডোপামিনের প্রভাবে তার ভাল লাগে এটা করতে। এছাড়া আরেকটা হরমোন নরএফিনেফ্রিনের প্রভাবও আছে। এই দুইয়ের প্রভাবে প্রেমে পড়লে মানুষ খুব একটা চটপটে হয়ে ওঠে, বড় সড় কাজ করতে চায় (Energetic)।
এদিকে প্রেমে পড়লে ডোপামিনের বৃদ্ধির সাথে আবার আরেকটা রাসায়নিক সেরাটোনিনের পরিমাণ কমে যায়। সেরাটোনিন নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের খিদে, মেজাজ। আর সেখান থেকেই তৈরি হয় মোহ বা infatuation যা একসময়ে তৈরি করে ঘোর (obsession)। ‘Obsessive-compulsive disorders’ এর রোগীদের ক্ষেত্রেও সেরাটোনিন লেভেল হ্রাস পায়। সেজন্য প্রেম কখনো obsession-এ পরিণত হয়। তখন একজনের কথা ভাবা ছাড়া দুনিয়ায় আর কোন কিছুর পরোয়া থাকেনা। এরসাথে যুক্ত হয় Nerve growth factor নামে আরেকটি রাসায়নিক। যারা অনেকদিন ধরে প্রেম করছে, বা কোনদিন প্রেমে পড়েনি, তাদের তুলনায় সদ্য যারা প্রেমে পড়েছে, তাদের মস্তিষ্কে এই রাসায়নিকটির প্রাবল্য লক্ষ্য করা যায়। নার্ভ গ্রোথ ফ্যাক্টার রোমান্টিক অনুভূতির তীব্রতা নিয়ন্ত্রণ করে।
একতরফা দিলকশি (আকর্ষণ) ও উনস (মোহ)-এর পর এবার দুতরফেই সাড়া পেলে, তা পরিণত হয় ইসক বা প্রেমে। ইসক অর্থাৎ সম্পর্কের প্রথম পর্যায়ে রয়েছে উচ্ছ্বাস, উত্তেজনা আর কিছুটা মানসিক চাপ (stress)— ডোপামিন, সেরাটোনিন, কর্টিসল হরমোনের প্রভাবে। কয়েক মাস (প্রায় ছয় মাস) পরে সম্পর্কটি যখন দ্বিতীয় পর্যায়ে বিকশিত হয় আকিদত (বিশ্বাস) ও ইবাদতে (পূজা) তখন তার মধ্যে আসে শান্তি, নির্ভরতা, সুরক্ষা। অক্সিটোসিন আর ভ্যাসোপ্রেসিন এই হরমোন দুটি নির্ভরতা আর বন্ধনের সাথে যুক্ত। দুটিই মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসে তৈরি হয়ে পিটুইটারি গ্রন্থিতে সঞ্চিত হয়, আর রাগমোচনের (orgasm) সময় রক্তে প্রবাহিত হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রসব কালে ও স্তন্যদান কালেও এই দুটি রাসায়নিক রক্তে মুক্ত হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে ভ্যাসোপ্রেসিন সামাজিক ব্যবহারের সাথেও যুক্ত, বিশেষত অন্য পুরুষদের প্রতি আগ্রাসনের ক্ষেত্রে। ভালবাসার তীব্র বন্ধনের ক্ষেত্রে দুটি রাসায়নিকেরই প্রাবল্য দেখা যায়। মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চলেই এই রাসায়নিক দুটোর গ্রাহক আছে, প্রেম ও মায়ের বাৎসল্য দুক্ষেত্রেই যেগুলো উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে। যাকে ভালবাসি, অক্সিটোসিনের প্রভাবে তার প্রতি ভালবাসা গাঢ় হয়। একজনকেই ভালবাসার (Monogamy) জন্য খুব প্রয়োজনীয় এই হরমোন, তবে অক্সিটোসিন বেশি ক্ষরিত হলে, অনেক পূর্ব ধারণা (Prejudice) খুব জেঁকে বসে। মানুষ যে সমাজ-সংস্কৃতি পছন্দ করে, আপন মনে করে, তার প্রতি ভালবাসা বাড়তে বাড়তে, এর বাইরে অন্য যা কিছু তার সবকিছুকে মূল্যহীন বা নিম্নস্তরের মনে হয় (ethnocentrism)।
‘‘পীরিতি-সায়রে ডোবারপূর্বে যে রাধা সাপের ছবিমাত্র দেখেই অজ্ঞান হতেন সেই রাধাই অভিসারে যাওয়ার সময় আপন হাত দিয়ে পথের পাশের সাপের ফনা চেপে ধরেছেন পাছে সাপের মাথার মণির আলোকে কেউ তাঁকে দেখে ফেলে।’’ মজার বিষয়, রাগমোচনের সময়ের মতই প্রেমের ক্ষেত্রেও মস্তিষ্কের ভাবনা, বিচার ও যুক্তি নিয়ন্ত্রণকারী অংশটি অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। ফলে সে সময় যুক্তি-টুক্তি বিশেষ কাজ করেনা। ভয় ডর কমে যায়। পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোঁড়া হবার ভয় থাকলেও সেই পাড়ায় ঘুরঘুর করতে দেখা যায়। আমরা দেখেছি, প্রেমে পড়লে অনেক লোকই এমন কান্ড কারখানা করে, যা সাধারণ অবস্থায় সে কোনদিন করার কথা হয়তো ভাবতই না। যেমন, ‘‘পীরিতি-সায়রে ডোবারপূর্বে যে রাধা সাপের ছবিমাত্র দেখেই অজ্ঞান হতেন সেই রাধাই অভিসারে যাওয়ার সময় আপন হাত দিয়ে পথের পাশের সাপের ফনা চেপে ধরেছেন পাছে সাপের মাথার মণির আলোকে কেউ তাঁকে দেখে ফেলে।’’ সক্রেটিস প্রেমকে ভাল-মন্দ বিচার করার ক্ষমতা বিনষ্টকারী শারীরিক সৌন্দর্য উপভোগের এক অযৌক্তিক আকাঙ্ক্ষা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। যদিও প্রেমের ক্ষেত্রে এই বিচার ক্ষমতা হারানো অবশ্য সাধারণ ভাবে প্রেমাস্পদর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, তুলনা দেওয়া যেতে পারে— অনেকটা মা আর সন্তানের সম্পর্কের মত। কিন্তু প্রেমের এই উচ্ছ্বাস আর যুক্তিহীনতা কবি, শিল্পীরা চিরকাল ঐশ্বরিক ভাবে দেখেছেন। প্লেটো প্রেমকে ঐশ্বরিক পাগলামি বলেছেন। প্রেমে পাগল মজনু যেমন লয়লার বিরহে লয়লার শহরের দেওয়ালগুলোকেই চুমু খেয়ে বেড়াত। বিভিন্ন হরমোনের প্রভাবিত প্রেম স্বরূপ এই ‘ঐশ্বরিক পাগলামি’ বা ‘জুনুন’ জন্ম দিয়েছে নতুন কাব্য, নতুন শিল্প সারা পৃথিবীতে। এক্ষেত্রে, গায়ত্রী চক্রবর্তীকে** নিয়ে বিনয় মজুমদারের আর তাঁর ‘ফিরে এসো চাকা’ (চক্রবর্তী>চক্র> চাকা) কবিতার উদাহরণ দেবার লোভ সামলানো গেলনা। “….উড়ে গেছ; ফিরে এসো, ফিরে এসো, চাকা/ রথ হয়ে, জয় হয়ে, চিরন্তন কাব্য হয়ে এসো/ আমরা বিশুদ্ধ দেশে গান হবো, প্রেম হবো/ অবয়বহীন সুর হয়ে লিপ্ত হবো পৃথিবীর সব আকাশে।”
কর্টিসল যত কম হয় সম্পর্ক তত গাঢ় আর সুস্থ থাকে। আবার অন্তরঙ্গতা যত বেশি, কর্টিসল তত কম হয়।
কর্টিসল হরমোন ক্ষরিত হয় মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে। মানসিক, শারীরিক স্বাস্থ্যের সাথে এই হরমোন অঙ্গাঙ্গিযুক্ত। একদম প্রথম দিকে একটু মানসিক চাপ থাকলেও, সম্পর্ক যত গড়ায়, উদ্বেগ, চাপ কমতে থাকে। কর্টিসলের পরিমাণ কমতে থাকে। প্রেমের শেষ পর্যায় মওত (মৃত্যু) মানে দুটি আত্মার পৃথক সত্ত্বার মৃত্যুকে বলা হচ্ছে, কারণ তখন তাদের একটাই স্বত্ত্বা***। ধরে নেওয়া যায় এক্ষেত্রে যুগল জীবন যাপনের কথা বলা হচ্ছে। সম্পর্কে না থাকা মানুষদের থেকে সুখী যুগলের রক্তে কর্টিসলের পরিমাণ অনেক কম হয়। আর কর্টিসল যত কম হয় সম্পর্ক তত গাঢ় আর সুস্থ থাকে। আবার অন্তরঙ্গতা যত বেশি, কর্টিসল তত কম হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে তো সুখী দাম্পত্য কর্মক্ষেত্রের চাপ জনিত কর্টিসলও কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
এই হল মোটামুটি ভাবে প্রেমের বায়োকেমিস্ট্রি। fMRI (Functional magnetic resonance imaging) প্রযুক্তির বিকাশের সাথে এই ধরণের প্রশ্নের উত্তর পেতে সুবিধে হয়েছে। fMRI মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপের ছোট ছোট পরিবর্তনগুলো সনাক্ত করতে পারে। যদিও এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর বাকি। তাছাড়া বায়োকেমিস্ট্রির সংজ্ঞার বাইরেও প্রেমের ক্ষেত্রে সাহিত্য, সঙ্গীত, শিল্পকলা, বিবর্তন, শারীরতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, অর্থনীতি ইত্যাদি আরও নানা বিষয়ের প্রভাব নিয়েও হাজার হাজার পাতা হয়তো লিখে ফেলা সম্ভব তার রহস্য বুঝতে। প্রেমের মাধুর্য্য, তার কুহক শক্তি ধরে রাখতে, সে রহস্য বরং বজায় থাকুক। শেষ কথা, চকলেট আর ফুলও কিন্তু ডোপামিন ক্ষরণ বাড়ায়, তাই প্রেমের অনুষঙ্গ হিসেবে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে তার ব্যবহারও যথাযথ। হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে!!
*সৈয়দ মুজতবা আলির বেঁচে থাক সর্দি-কাশি গল্পের থেকে নেওয়া লাইনটি। খুব সম্ভবত গোবিন্দদাস পদাবলী থেকে বাক্যটি গৃহীত। সাপের মণি এখানে কাব্যের উপমা মাত্র, বাস্তবে এর কোন অস্তিত্ব নেই।
** গায়ত্রী সেসময়ের প্রেসিডেন্সি কলেজের উজ্জ্বল ছাত্রী গায়ত্রী চক্রবর্তী, পরবর্তী কালে যিনি ভাষাবিদ ও দার্শনিক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক নামে খ্যাত। “এঁর সঙ্গে বিনয়ের ভাল করে পরিচয়ই হয়নি। অথচ তাঁর জন্য বিনয় উন্মাদনার সকল পারদ অতিক্রম করে গিয়েছেন, এক সময় গায়ত্রীকে উপনীত করেছেন ‘ঈশ্বরী’তে, যাতে মনে হতে পারে বিনয়ের ঈশ্বরীই গায়ত্রী”। (সূত্র- আনন্দবাজার)
*** সুফি সাধনায় ঈশ্বর আর সাধকের মিলন।
► লেখা ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক করুন, কমেন্ট করুন, আর সকলের সাথে শেয়ার করে সকলকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
► এলেবেলেকে ফলো করুন।
“