কলমে এলেবেলে নির্মাল্য এবং এলেবেলের অতিথি জগন্ময় চৌধুরী
যখনই আধুনিক ধারার (বা জনগণের ভাষায় ‘অ্যালোপ্যাথিক’) চিকিৎসকরা আমাদের ওষুধ খেতে বলেন, প্রায় সবাই আমরা ভয়ে ভয়ে সেই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভাবতে বসি। অ্যামেরিকায় ওষুধের বিজ্ঞাপনে প্রথম দশ সেকেন্ড যদি ওষুধের গুণ বলা হয়, তাহলে পরের দশ সেকেন্ড বা তারও বেশি সময় নিয়ে বলা হয় সেই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা। সেই বিজ্ঞাপন বা গুগল করলে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হিসেব পাওয়া যায়, তাতে মনে হয়, এই ওষুধটি সেবন করলে হৃদপিণ্ড, কিডনি, পাকস্থলী বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সব ক্রিয়া অচিরে বন্ধ হয়ে যে কোন মুহুর্তে রোগীর মৃত্যু হবে। তাই আধুনিক ওষুধ নিয়ে মানুষের মনে সংশয়, অবিশ্বাসের দোলাচল চলতেই থাকে। কিন্তু এই সংশয় মুক্ত হতে হলে, প্রথমে বুঝতে হবে যে আধুনিক ওষুধ আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলতে ঠিক কী বোঝায়, আর তারও আগে বুঝতে হবে কোনো রোগের কারণ কী।
প্রথমে বুঝতে হবে যে আধুনিক ওষুধ আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলতে ঠিক কী বোঝায়, আর তারও আগে বুঝতে হবে কোনো রোগের কারণ কী।
কোনো রোগ যে কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে- ১.বংশগত (Genetic) যেমন – থ্যালাসেমিয়া, ডাউন সিন্ড্রোম ইত্যাদি; ২. বিপাকীয় (Metabolic)- যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি আর ৩. সংক্রামক (Infectious) অর্থাৎ কোন ব্যাকটিরিয়া (কলেরা টাইফয়েড ইত্যাদি), ভাইরাস (ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিড, ডেঙ্গি, এইডস), প্রোটোজোয়া (ম্যালেরিয়া) ইত্যাদি পরজীবী ঘটিত রোগ। যেকোনো রোগকেই এই তিনটের যে কোনো একটা গোত্রে ফেলা যেতে পারে। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রশ্ন উঠতে পারে, ক্যান্সার কোন ধারার রোগ তাহলে? ক্যান্সারকে কিন্তু তিন ধারাতেই ফেলা যেতে পারে- ক্যানসার একসাথে বংশগত ও বিপাকীয় রোগ, আর ১৫% ক্ষেত্রে ভাইরাস ঘটিতও বটে। যেমন, হেপাটাইটিস বি, সি, প্যাপিলোমা, হারপিস ইত্যাদি ভাইরাস মানবদেহে ক্যান্সার ঘটাতে সক্ষম। তাছাড়া, হ্যালিকোব্যাকটার পাইলোরি নামের ব্যাকটিরিয়ার দীর্ঘকালীন সংক্রমণ পাকস্থলীর ক্যান্সারের কারণ।
এক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রশ্ন উঠতে পারে, ক্যান্সার কোন ধারার রোগ তাহলে?
বংশগত রোগের ক্ষেত্রে আপাততঃ বিশেষ বলার কিছু নেই, কারণ এক্ষেত্রে সেরকম কোনো ওষুধ নেই। জিন থেরাপির অর্থাৎ ডিএনএ-র যে ত্রুটি রোগের কারণ সেই ত্রুটিকে দূর করার কথা ভাবা হচ্ছে, কিন্তু সেটা একেবারেই পরীক্ষা নিরীক্ষার স্তরে। ভবিষ্যতে ক্রিসপার প্রযুক্তি, যে প্রযুক্তি ২০২০ সালে রসায়নে নোবেল সম্মানে ভূষিত হল, তার মাধ্যমে হয়তো ভবিষ্যতে এই ধরণের রোগে চিকিৎসা সম্ভব হবে। কিন্তু তা এখনো বেশ কিছুটা সময়ের অপেক্ষা।
দ্বিতীয়, বিপাকীয় রোগ অর্থাৎ, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার অথবা কোনও পুষ্টি পদার্থের অধিক বা নিম্ন মাত্রার ফলে বা কোনো বিষাক্ত পদার্থর মাধ্যমে সৃষ্ট রোগের ক্ষেত্রে কিছু ওষুধ আছে।
তৃতীয় গোত্রে বিভিন্ন অণুজীব, পরজীবী ইত্যাদি থেকে সৃষ্ট রোগ। আগেই বললাম, যে ভাইরাস জেনেটিক পরিবর্তন সাধন করে ক্যান্সার তৈরি করতে পারে। সেই অংশটুকু জেনেটিক এর মধ্যে রাখাই সমীচীন। তাহলে দাঁড়াল, ওষুধ আছে এখন দ্বিতীয় ও তৃতীয় গোত্রের কিছু রোগের ক্ষেত্রে। সেগুলোর জন্য যেসব ওষুধ আছে, সেগুলোর কার্য পদ্ধতি দেখলে দুটো জিনিস লক্ষ্য করা যায়।
প্রথমতঃ, রোগটির মূলে গিয়ে পরিবর্তন করা, বা মূল এর বিনাশ ঘটানো। দ্বিতীয়তঃ মূল এর ফলে উদ্ভূত রোগলক্ষণগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। রোগ হয় আমাদের শারীরিক স্বাভাবিক ভারসাম্য বিগড়ে গেলে। বিভিন্ন আন্তঃ ও বহিরাগত কারণে যখন এই ভারসাম্য বিগড়ে যায়, বাইরে থেকে ওষুধ প্রয়োগে সেটাকে ঠিক করার চেষ্টা করা হয়। এবার সেই ওষুধ একই লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট আঘাত হানলেও, দীর্ঘ ব্যবহারে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা খারাপ ফল দেখা যেতেই পারে। কারণ, সেই ওষুধটি যে লক্ষ্যে আঘাত হানছে, সেটি হয়তো একই সময়ে বিভিন্ন প্রত্যঙ্গে বিভিন্ন কাজ করছে। অর্থাৎ তার একাধিক কার্যকারিতা আছে। রোগ সারাতে একটি কার্যকারিতা বন্ধ করতে গেলে, তার অন্য কাজগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেখা যায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা খারাপ ফল। উদাহরণ হিসেবে বললে সুবিধে হবে। ধরা যাক, ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণজনিত জ্বরের কথা। এর জন্য মূলতঃ দুই ধরণের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। প্রথমতঃ, অ্যান্টিবায়োটিক অর্থাৎ যা ব্যাকটিরিয়াকে বিনাশ করবে এবং দ্বিতীয়ত, প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ, যা COX2 উৎসেচকের কাজে বাধা দিয়ে (inhibitor) জ্বর কমাবে। এবারে দেখা যাক এদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ক্রিয়ার সাথে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কিভাবে হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকগুলো মূলতঃ ব্যাকটিরিয়ার শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপে বাধা প্রদান করে, হয় মেরে ফেলে বা সংখ্যাবৃদ্ধি ব্যাহত করে। এই রাসায়নিক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটিরিয়ার প্রোটিন বা কার্যকারী কোনো অণুর বিশেষ অংশের সাথে নিতান্ত পরিচিতের মত আটকে গিয়ে তাদের কাজে বাধা দেয়। অর্থাৎ অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর, ব্যাকটিরিয়ার সেসব প্রোটিন বা অণুর ওই অংশের সাথে গঠনগত মিল (Structural Similarity) আছে, তাই আটকাতে পারে। এখন এই যে বিশেষ অণুটির কাজ আটকে দিল, সেটা বা তার সদৃশ অণু তো অন্য অনেক ব্যাকটিরিয়াতেই আছে, ফলে লাভটা হল, যে একটা বা দুটো নয়, একই অ্যান্টিবায়োটিক অনেক ধরণের ব্যাকটিরিয়াকেই মেরে ফেলতে পারল। কিন্তু ক্ষতির দিকটা হল, এর সাথে আমাদের দেহের উপকারী ব্যাকটিরিয়াও মারা পড়ল। কারণ,অ্যান্টিবায়োটিক তো ক্ষতিকর ব্যাকটিরিয়ার সাথে সেসব উপকারী ব্যাকটিরিয়ারও সেই অণুটির কাজ পণ্ড করে দেয়। ফলে ক্ষতিকর অণুজীবের সাথে উপকারী অণুজীবও ধ্বংস হল অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবে। ফলে অন্ত্রে এদের দ্বারা তৈরি বিভিন্ন ভিটামিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হল, মানে শারীরিক ক্ষতি হল। অর্থাৎ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটল। প্রসঙ্গতঃ, এজন্য চিকিৎসকেরা অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে ভিটামিন ট্যাবলেটও খেতে বলেন।
দ্বিতীয় হল, জ্বর কমার ওষুধ। দেহে অনাহুত বহিরাগত অণুজীব ধ্বংস করতে বিভিন্ন রাসায়নিক অণু বা সাইটোকাইন ক্ষরিত হয় অনাক্রম্যতা কোষ থেকে। যার প্রভাবে আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসে অবস্থিত তাপ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর জন্য মূলত দায়ী প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক একটি যৌগ, যা COX-2 নামের উৎসেচক দ্বারা শরীরে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের দেহে তৈরি হয়। এখন প্যারাসিটামল জাতীয় জ্বরের ওষুধ, এই COX-2 র কাজ পণ্ড করে। ফলে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন তৈরি হওয়া ব্যাহত হয়। এর অভাবে মস্তিষ্ক আর তাপমাত্রা বাড়াতে পারে না। ফলে, ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে। আবার অন্যদিকে, এই প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন পাকস্থলীর শ্লেষ্মা ঝিল্লি (Mucus Membrane) রক্ষণাবেক্ষণ করে। প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের অভাবে ওই শ্লেষ্মা ঝিল্লি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও গ্যাস্ট্রাইটিসের এর সম্ভাবনা বাড়ে। এটাও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এখন একই অণু (এক্ষেত্রে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন) দুই জায়গায় দুই রকম কাজ করছে বলে এরকম ঘটছে। কারণ রাসায়নিক দিক থেকে তো আলাদা করা সম্ভব নয়, যে এই প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন অণুটা মস্তিষ্কের জন্য আর অন্যটা শ্লেষ্মা ঝিল্লির জন্য।
আবার আমাদের যকৃৎ-এ বহিরাগত রাসায়নিকের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। কারণ, যকৃৎ-এর লক্ষ্য থাকে, সেই রাসায়নিকটি বিপাকক্রিয়ার মাধ্যমে জলে গুলে যায় এমন অন্য রাসায়নিকে রূপ পরিবর্তন করা, যাতে তা মূত্রের সাথে বেরিয়ে যেতে পারে। এবার সেটা ওষুধই হোক, বা খাদ্যে ভেজালই হোক, এই সব বহিরাগত রাসায়নিকের ক্রমাগত সেবন যকৃৎ-এর খাটনি খুব বাড়িয়ে দেয়, অতি শ্রমে যকৃৎ ক্লান্ত হয়ে পড়ে, ফলে যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়, সেটাও এক ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এটা মোটামুটি প্রায় সব ধরণের ওষুধের ক্ষেত্রেই কম বেশি প্রযোজ্য। যা দীর্ঘদিন চললে যকৃৎ তার কার্যক্ষমতা হারাতে পারে। আমাদের শরীরের ব্যবস্থাপত্র এত সূক্ষ্ম ভাবে ভারসাম্য বজায় রাখে, যে সামান্য পরিবর্তন তার মধ্যে জোরালো ভাবে দেখা যায়। তাই বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে এই ভারসাম্যের সামান্যতম পরিবর্তনও বিভিন্ন রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে সক্ষম।
প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাবার কোন উপায়ই নেই? এর জন্য কি কোন গবেষণা হয়ই না?
প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাবার কোন উপায়ই নেই? এর জন্য কি কোন গবেষণা হয়ই না? এটা ঠিক, যে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম, সেগুলোর বিশেষ পরিবর্তন আনার জন্য সেরকম চেষ্টা করা হয় না। কিন্তু যেগুলোর অত্যন্ত বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া যায়, মাত্রার দিক থেকে, এবং জনসংখ্যা ভিত্তিক নিরীক্ষার দিক থেকে (কারণ এক ওষুধে কারো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়, কারো যায় না, আবার তার মাত্রার হেরফেরও হয়), তখন মূল ওষুধের কোনো কম প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন অনুরূপ ওষুধ খোঁজা হয়, আবার কখনো সম্পূর্ণ নতুন কোনো ওষুধের। যেমন, কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ স্ট্যাটিন গোত্রের সেরিভাস্ট্যাটিন (১৯৯৮-২০০১) বাজারে আসার আড়াই বছর বাদে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য তা তুলে নেওয়া হয়, এবং পরবর্তীতে আরও নিরাপদ একই স্ট্যাটিন গোত্রের ওষুধ বাজারে আসে। কখনো সামান্য ছোট্ট একটু পরিবর্তনও নাটকীয় প্রভাব ফেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে। যেমন, অ্যালার্জির ওষুধ – সেটরিজিন হল ডেক্সট্রো আর লিভো সেটরিজিনের মিশ্রণ। মিশ্রণ থেকে খালি লিভো আলাদা করেও অ্যালার্জির ক্ষেত্রে একই ফল দেখা গেল, কিন্তু পরিমাণে অর্ধেক লাগায় সেটরিজিন সেবনে ঝিমুনি ভাবের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার যে আশঙ্কা, তাও কমে গেল (যদিও এটা নিয়ে একটু বিতর্ক এখনো আছে)। ওষুধের রাসায়নিক গঠনের বিভিন্নতা (chirality), এর জন্য দায়ী। কখনও কখনও দুই ধরনের গঠনকে আলাদা করা যায় না, বা শরীরের ভেতরে রাসায়নিকভাবে একটি থেকে অন্যটিতে পরিবর্তন ঘটে। দুই প্রকার গঠনের কার্যকারিতা ভিন্ন। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণ দূর করার ক্ষেত্রে, বাধ্যবাধকতা ও সীমাবদ্ধতা অবশ্যই রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের মাধ্যমে, সিমুলেশন এর মাধ্যমে চেষ্টা চলছে বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে যতটা সম্ভব কম করার। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো তার ফল দেখা যাবে।
শেষ কথা হিসেবে বলা যায়, সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই যে ক্ষতিকর তা নয়, বরং অনেক সময় অপ্রত্যাশিত সুফলও দেখা যায়। যেমন, দেখা গেছে, ডায়াবেটিসের ওষুধ মেটফরমিন মনুষ্যেতর প্রাণীতে আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি করে। মানুষের ক্ষেত্রে, মেটফরমিন হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়, ডায়াবেটিস আছে ও নেই, এরকম দু’দলের ক্ষেত্রেই। এটাও দেখা গেছে যে, মেটফরমিন সেবন বার্ধক্যজনিত ক্যান্সারের আশঙ্কা কম করে; এবং বয়স্কদের বিপাকের ক্ষেত্রেও মেটমরফিনের খুব উৎসাহব্যঞ্জক ফল পাওয়া গেছে। এসবই কিন্তু মেটফরমিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অন্তর্গত। কীভাবে মেটফরমিন এই কাজগুলো করছে, তা নিয়ে গবেষণা চলছে। বার্ধক্যজনিত রোগের ক্ষেত্রে, এর কার্যকারিতার পরীক্ষা এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চতুর্থ পর্যায়ে আছে। অর্থাৎ পূর্ববর্তী তিনটি পর্যায়ে ভাল ফল দেখা গেছে, বোঝাই যায়।
জগন্ময় চৌধুরী বর্তমানে, সর্বভারতীয় চিকিৎসাবিজ্ঞান সংস্থান (AIIMS), দিল্লীতে প্রজনন জীববিজ্ঞান বিভাগে গবেষণারত।
► লেখা ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক করুন, কমেন্ট করুন, আর সকলের সাথে শেয়ার করে সকলকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
► এলেবেলেকে ফলো করুন।