~ কলমে এলেবেলের অতিথি অনিরুদ্ধ শাসমল ~
মাথা চুলকে লালমোহনবাবু জিজ্ঞাসা করলেন- ভাই তপেশ জিজীবিষা-তে হ্রস্ব-ই দীর্ঘ-ই এর অর্ডারটা ঠিক কি?
ফেলুদা- পুজো তো চলেই গেল। তা, কি নিয়ে লিখছেন?
লালমোহনবাবু- মশাই, করোনার ভ্যাকসিনের গল্প এখন সেলিং লাইক হট কচুরিস্, তাই এবারের রহস্য ‘ভ্যাকসিনের ভুলভুলাইয়া’।
তাহলে গল্পের পটভূমিকা কি লক্ষ্নৌ?
ফেলুদা- তাহলে গল্পের পটভূমিকা কি লক্ষ্নৌ?
লালমোহনবাবু- না, ভ্যাঙ্কুভার! ‘ভ্যাঙ্কুভারে ভ্যাকসিন‘ নামটাও ভেবে রেখেছি। একবার মেচেদার সংখ্যাতত্ত্ববিদ ভবেশ ভট্টাচার্যকে দিয়ে নামটা ফাইনাল করিয়ে নেব। প্রখর রুদ্র এবার ভ্যাঙ্কুভারের ভ্যাকসিন বিজ্ঞানী। আর রিভলবার নয়, আপনার মত মগজাস্ত্র দিয়ে সে মুমূর্ষু করোনা-আক্রান্ত রোগীকে বাঁচিয়ে তুলবে। তার পরিশ্রম, উদ্যম এবং এই অতিমারিকে জয় করার প্রবল ইচ্ছে, মানে তার এই ‘জিজীবিষা’- এসব নিয়েই এবারের গল্প। কেমন, থ্রিলিং না?
ফেলুদা- লালমোহনবাবু, ওটা জিজীবিষা নয়, বিজিগীষা- অর্থাৎ জয় করিবার ইচ্ছা। তাছাড়া মুমূর্ষু রোগীকে ভ্যাকসিন দিয়ে কি হবে? থেরাপিউটিক ভ্যাকসিন যদিও বা সে ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে, এখন সবাই কিন্তু প্রিভেন্টিভ বা প্রোফাইল্যাকটিক ভ্যাকসিনের কথাই জানতে চাইছে, যা দিয়ে, আগাম রোগ-আক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। তাই করোনা-আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে হলে আপনার প্রখর রুদ্রকে ওষুধ অর্থাৎ এক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ তৈরি করতে হবে।
তোপসে- কিন্তু সবাই যে ভ্যাকসিনের জন্যই অপেক্ষা করছে। লালমোহনবাবু তো ইঞ্জেকশনের ভয়ে রোজ আঙুলে ছুঁচ ফুটিয়ে প্র্যাকটিস করছেন।
লালমোহনবাবু- নেট প্র্যাকটিস। এত ছোট অস্ত্র তো তাই যাতে বেসামাল না হয়ে যায়।
ফেলুদা- যাইহোক, আপনার গল্পে প্রখর রুদ্রকে মুমূর্ষু রোগী বাঁচাতে হলে হয় থেরাপিউটিক-ভ্যাকসিন বা অ্যান্টিভাইরাল-ড্রাগের বিজ্ঞানী বানিয়ে তুলুন, নাহলে দুসপ্তাহে একটা এডিশনও ফিনিশ হবে না।
লালমোহনবাবু- মশাই, থেরাপিউটিক এর সাথে থরহরিকম্প ছাড়া আর তো কিছু মিল পাচ্ছি না। আপনি বরং Covid-19 এর বিরুদ্ধে ড্রাগের ব্যাপারটা একটু বলুন- আজকাল শুনছি ‘ড্রাগ’ বললেই লোকে খাচ্ছে বেশি।
ফেলুদা- শুনুন তাহলে। তোপসে তুই-ও শুনে রাখ্। জীবাণু-বাহিত রোগ আক্রমণ থেকে আগাম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রিভেন্টিভ ভ্যাকসিন বেশ কার্যকরী। কিন্তু এই যে আমাদের চারিদিকে লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনা-আক্রান্ত হচ্ছে তাদের রোগ মুক্তির উপায় কি? একটা উপায় হল ওষুধ। যেহেতু ভাইরাস এর সাথে লড়াই তাই আমাদের চাই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ। এই করোনা ভাইরাস সবথেকে বেশি যেখানে আক্রমণ করে সেটা হলো ফুসফুস। ভাইরাসের কাঁটা-প্রোটিন ফুসফুসের বায়ুথলির উপরিভাগে অবস্থিত ACE-2 প্রোটিনের গায়ে বেঁধে। তাই ভাইরাস-আক্রমণ রুখতে হলে এমন ওষুধ তৈরি করতে হবে, যা হয় ভাইরাসের কাঁটা-প্রোটিনকে কোষের গায়ে বিঁধতে দেবে না অথবা কোষের মধ্যে ভাইরাস ঢোকার পরের ধাপগুলোকে অকেজো করে দেবে। যদিও এখনো বহুল-ব্যবহারের জন্য সেরকম কোনো অনুমোদিত ওষুধ নেই, আমি শুধু কয়েকটা ওষুধের কথা বলছি যেগুলো জেনে রাখলে আপনি গল্পে নির্ভুল তথ্য দিতে পারবেন। প্রথম যে ওষুধের কথা বলতেই হয়, তা হল…
হাইড্রক্সি-মিরাকিউরল! আমার গল্পের ভ্যাকসিন, থুড়ি ওষুধের নাম ভেবে রেখেছি।
লালমোহনবাবু- হাইড্রক্সি-মিরাকিউরল! আমার গল্পের ভ্যাকসিন, থুড়ি ওষুধের নাম ভেবে রেখেছি।
ফেলুদা- ওটা পাল্টে নেবেন, কপিরাইট থাকতে পারে। এখন যে ওষুধের নাম সবথেকে বেশি শোনা যাচ্ছে, সেটা হল রেমডেসিভির। এখানে লক্ষণীয় যে, অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের নামের শেষে virus এর প্রথম তিনটে অক্ষর -vir ব্যবহার করা হয়, তাই রেমডেসি-ভির (Remdesi-vir). কোনো ওষুধ কি কাজে লাগে তা সহজে চেনার এটা একটা উপায়। যেমন ম্যাক্রোলাইড-জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিকের জন্য ওষুধের নামের শেষে -মাইসিন(-mycin) এবং পেনিসিলিন-জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিকের নামের শেষে -সিলিন(-cillin) কথাটা যোগ করা।
তোপসে- এমোক্সি-সিলিন আর এজিথ্রো-মাইসিন।
ফেলুদা- একদম ঠিক! গিলিয়াড কোম্পানি আসলে ইবোলা, সার্স বা মার্স-এর মত ভাইরাস সংক্রমণের সাথে লড়াই করার উদ্দেশ্যে রেমডিসিভির ডেভলপ করেছিল। করোনা ভাইরাস যে একটা RNA ভাইরাস তা তো জানেন। এই ভাইরাস বংশবৃদ্ধির জন্য RNA এর প্রতিলিপি তৈরিতে যে উৎসেচক এর সাহায্য নেয় তা হল RNA পলিমারেজ। রেমডেসিভির এই পলিমারেজকে ধোঁকা দিয়ে তেলের পিপেতে আলিবাবার চোরেদের মতো লুকিয়ে ভাইরাসের RNA তে ঢুকে পড়ে প্রতিলিপি পদ্ধতিতে বাধা দেয়, ফলে ভাইরাস বংশবিস্তারে অক্ষম হয়ে পড়ে। এই রেমডেসিভিরকে Covid-19 এর বিরুদ্ধে ‘রিপারপাস্ড ড্রাগ’ হিসাবে ১০৬২ রোগীর উপর প্রয়োগ করে বেশ কিছুটা সাফল্য পাওয়া গেছে, আর তাই যুক্তরাষ্ট্রে FDA এই ওষুধ হাসপাতালে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। ইউরোপে রেমডেসিভিরকে কেবলমাত্র আপদকালীন ব্যবহার-এর আওতায় হাসপাতালে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উল্টোদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO)-এর ‘সলিডারিটি ট্রায়াল’-এ ২৭৪৩ রোগীর ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করে বিশেষ কার্যকারিতা দেখা যায়নি। অথচ, WHO-এর করোনার বিরুদ্ধে ওষুধের ‘prequalified list’-এ রেমডিসিভিরকে যুক্ত করা হয়েছে। WHO-এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য এখনো স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞদের দিয়ে যাচাই করা হয়নি আর তাই এ নিয়ে একটু জলঘোলা হচ্ছে। এছাড়া, কিছু ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনো চলছে যেখানে রেমডিসিভির এর কার্যক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহযোগী ওষুধ একত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে যাতে রোগীর অতিসক্রিয় অনাক্রম্যতাকে কিছুটা আয়ত্তে আনা যায়। আর্থ্রাইটিসের ওষুধ baricitinib এরকম একটি সহযোগী ওষুধ। এই ওষুধ এর নামের শেষে -tinib কথাটা যোগ করার কারন এটা একটা টাইরোসিন কাইনেজ ইনহিবিটর, অর্থাৎ এটি টাইরোসিন কাইনেজ প্রোটিন এর সাথে কোনো জৈবযৌগকে যুক্ত হতে বাধা দেয়। এছাড়াও সহযোগী ওষুধ হিসাবে ইন্টারফেরন বিটা-১এ, tocilizumab ইত্যাদি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
তোপসে- tocilizumab-এ নামের শেষে -mab মানে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি!
লালমোহনবাবু- তাহলে কি আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প-এর করোনা চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল?
ফেলুদা- না, এই ওষুধ না। তবে সেটাও এক ধরনের মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির মিশ্রন, এগুলোকে বলব ইমিউনোথেরাপি। কিন্তু সে আলোচনা আজ থাক। যেটা বলছিলাম, Roche ফার্মাসিউটিক্যালের tocilizumab হল এক ধরনের জৈবথেরাপি, যেখানে এই অ্যান্টিবডি শরীরের অনাক্রম্য-ব্যবস্থাকে উদ্দীপিত বা প্রতিহত করে রোগের সাথে লড়াই করতে সাহায্য করে। আমরা আগেই জেনেছি যে বেশিরভাগ গুরুতর করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে ‘সাইটোকাইনের ঝড়’ ওঠে যার মধ্যে ইন্টারলিউকিন-৬ (IL-6) ও একটি। Tocilizumab এর কাজ হলো এই IL-6 এর গ্রাহক-প্রোটিন এর সাথে আগেভাগে যুক্ত হয়ে IL-6 এর কাজে বাধা দেওয়া। তাই এই ওষুধ এখন Covid-19 রোগনিরাময়ের জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া আরো দুটো অ্যান্টিভাইরাল এর কম্বিনেশন liponavir-ritonavir যা HIV আক্রান্ত রোগীর জন্য ব্যবহার করা হয়, তা-ও পরীক্ষা করা হচ্ছে। সম্প্রতি WHO-এর ‘সলিডারিটি ট্রায়াল’-এ বিফল হলেও অনেক দেশেই এর পরীক্ষা চলছে। বেশ কিছু ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তারমধ্যে oseltamivir (বাজারে tamiflu নামে পরিচিত) বিশেষ ফলপ্রদ না হলেও, Favipiravir ওষুধটি চীনে দুটি ছোট গ্রুপে (২৪০ ও ৮০) পরীক্ষার পর কিছুটা আশা দেখিয়েছে। অবশ্যই, বড়মাপের এবং উপযুক্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এক্ষেত্রে জরুরি। Favipiravir ওষুধটি কেবল চীন ও জাপানে ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধ হিসাবে অনুমোদিত ছিল এবং সম্প্রতি ভারত, বাংলাদেশ ও রাশিয়া তে অনুমোদন পেয়েছে।
এবার আসি ডেক্সামেথাসোন (Dexamethasone) ওষুধের কথায়। এখানে ওষুধের নামের শেষে -asone কথাটা দেখে বুঝতে হবে যে এটি একধরনের corticosteroid বা চলতি কথায় স্টেরয়েড। যদিও এই ওষুধ অটোইমিউন কন্ডিশন বা এলার্জির প্রতিকারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে ২১০৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর অসুস্থ রোগীর মধ্যে এই ওষুধ প্রয়োগ করে মৃত্যুহার ২০-৩৫% কমানো গেছে। রোগীর মধ্যে গুরুতর উপসর্গ না থাকলে এই ওষুধের বিশেষ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। WHO-এর ‘সলিডারিটি ট্রায়াল’-এ এই ওষুধটি কিছুটা ইতিবাচক ফলাফল দিয়েছে। এছাড়া মোট সাতটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এই ডেক্সামেথাসোন ছাড়াও hydrocortisone এবং methylprednisolone এর মত স্টেরয়েড ব্যবহার করে দেখা গেছে যে এই ওষুধসেবকদের মধ্যে মৃত্যুহার প্রায় ৮% কম। এই ডেক্সামেথাসোন ওষুধটি বিরোধী-প্রদাহজনক হোরমোনের অনুকরণ করে করোনা-আক্রান্তের শরীরের অতিসক্রিয় অনাক্রম্যতাকে নিরস্ত করে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। হয়ত, এজন্যই শুধু ভেন্টিলেশনে থাকা গুরুতর অসুস্থ রোগীদের মধ্যেই এই ওষুধ সুফল দিয়েছে আর তুলনামূলক কম গুরুতর অসুস্থ রোগীদের মধ্যে কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। ভারত ও বাংলাদেশেও এই ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এতক্ষণ যেসব ওষুধের কথা বললাম সেগুলো ছাড়াও আরও অনেক ওষুধেরই পরীক্ষামূলক ব্যবহার চলছে।
ভারত ও বাংলাদেশেও এই ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।
লালমোহনবাবু- সে কি মশাই! একটা ওষুধের কথা আপনি তো বেমালুম ভুলেই বসে আছেন। আমার গল্পের ওষুধের নাম তো সেটারই ইন্সপিরেশনে।
ফেলুদা- হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন? ষাটের দশকে অনুমোদিত ম্যালেরিয়ার ওষুধটি প্রথমদিকে Covid-19 এর জন্য চীন, ফ্রান্স, ইতালির মতো জায়গায় পরীক্ষা করেও কোনো সিদ্ধান্তজনক ফলাফল মেলেনি। পরে বড় জনগোষ্ঠীতে প্রয়োগ করেও বিশেষ উপকার হয়নি। তাই WHO-এর ‘সলিডারিটি ট্রায়াল’ থেকে জুন মাসে এবং যুক্তরাষ্ট্রে আপদকালীন ব্যবহার (EUA) থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও বিস্তর। তবু কিছু দেশে ওষুধের ককটেলে এর ব্যবহার চলছে। তাই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যাপারটা…..
লালমোহনবাবু- হাইলি সাসপিসাস!
তোপসে- সবই তাহলে পুরোনো ওষুধগুলোকে নতুনভাবে Covid-19-এর বিরুদ্ধে পরীক্ষা করা হচ্ছে। নতুন কোনো ওষুধ নেই?
ফেলুদা- নতুন কোন ওষুধ তৈরি করতেও কিন্তু সময় লাগে ঢের। তবে কিছু নতুন ওষুধের পরীক্ষা চলছে। যেমন ফাইজার কোম্পানির PF-07304814 (PF-00835231) এখন phase I ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আছে। এছাড়া অ্যানিভাইভ লাইফসায়েন্সের বিড়াল-জাতীয় প্রাণীর করোনাভাইরাসের ওষুধ GC376 প্রিক্লিনিক্যাল ধাপে কিছু সাফল্য দেখিয়েছে এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তোড়জোড় চলছে।
লালমোহনবাবু- শেষমেশ কি বিড়ালের তালব্য-শ ও খুঁজতে হচ্ছে? তাহলে কি এখন ওই রেমডেসিভির আর ডেক্সামেথাসোন-ই ভরসা?
ফেলুদা- হ্যাঁ, নেই মামার থেকে কানা মামা ভালো। তবে ওষুধ ছাড়াও বিভিন্ন থেরাপি, যেমন জিন-থেরাপি, কোষঘটিত-থেরাপি, অ্যান্টিবডি-থেরাপি ও প্লাজমা-থেরাপিও প্রয়োগ করা হচ্ছে। আশাকরি অদূর ভবিষ্যতে আমরা যথাযথ করোনার ওষুধ-ও হাতে পাব।
তোপসে- তাহলে লালমোহনবাবু, আপনার গল্পের কি হবে?
তার আবিষ্কৃত ওষুধের নাম ‘প্রভির’।
লালমোহনবাবু- নো টেনশন তপেশ! অলরেডি ভেবে ফেলেছি। গল্পের নায়ক প্রখর রুদ্র হবে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের গবেষক আর তার আবিষ্কৃত ওষুধের নাম ‘প্রভির’।
তোপসে- মানে প্রখর এর আদ্যক্ষর ‘প্র‘ আর তার সাথে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের জন্য ‘-ভির’?
লালমোহনবাবু- প্রদোষের আদ্যক্ষরও বটে। এ জিনিস তোমার দাদা না বললে কি আর জানতে পারতাম। এখন শুধু ভাবছি অ্যান্টিভাইরাল নিয়ে রহস্য-রোমাঞ্চ উপন্যাস কি পাঠকদের মধ্যে ভাইরাল হবে?
লেখক বলছেন:সদ্যপ্রয়াত শ্রী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে সমর্পিত আমার এই নিবেদন। আশাকরি, সকলে এই লেখাটি শ্রী সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি ফেলুদা-তোপসে-জটায়ুকে অবলম্বন করে একটি ফ্যান-ফিকশন হিসাবে গ্রহণ করবেন। ঐ চরিত্রের প্রতি ভালবাসা আর তার স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই কাল্পনিক আলাপের অবতারণা। এই লেখার মাধ্যমে আমার কোনোরকম আর্থিক লাভের অভিপ্রায় নেই।
অনিরুদ্ধ নিউ ইয়র্কে ফাইজার (Pfizer) ভ্যাকসিন রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেণ্টে কর্মরত বিজ্ঞানী।
► লেখা ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক করুন, কমেন্ট করুন, আর সকলের সাথে শেয়ার করে সকলকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
► এলেবেলেকে ফলো করুন।