~কলমে এলেবেলে উদ্দালক
বিজ্ঞানের যে কোনও শাখার সার্থকতা লুকিয়ে থাকে তার মানবসভ্যতার বিকাশ বা অগ্রগতিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকার মধ্যে। ভূতত্ত্ববিদ্যাও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতিনিয়ত মানব সভ্যতার জয়গান গেয়ে চলেছে এই বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের এই শাখাটির যে প্রশাখাগুলি আছে সেগুলি আমাদের পৃথিবীকে আরও গভীরভাবে জানতে সাহায্য করে চলেছে। প্রশাখাগুলিকে আলাদা আলাদা ভাবে শনাক্তকরণ করা গেলেও তারা কিন্তু একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আজকে এই শাখাগুলি কিভাবে সভ্যতার অগ্রগতিতে অংশ নিয়ে চলেছে তা নিয়ে আলোচনা করবো।
“পাষাণে ঘটনা যদি অঙ্কিত হইত তবে কতদিনকার কত কথা আমার সোপানে সোপানে পাঠ করিতে পারিতে।”— “ঘাটের কথা” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভূতত্ত্ববিদ্যার ছাত্র হওয়ার পূর্বে পাথরদের বড্ড নিস্প্রাণ বলে মনে হতো, এখন কিন্তু তা আর মনে হয় না। প্রথম যখন এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা শুরু করি, তখন চলচ্চিত্রে কোনো এক গানের দৃশ্যে নায়ক-নায়িকা হয়তো কোনো পাথরের উপর দাঁড়িয়ে অভিনয় করছেন, আমার চোখ তাদের উপর থেকে বার বার সরে চলে যেত পাথরটির উপর। প্রথম প্রথম পাথর অতো ভালো চিনতাম না। কোনটা দরকারি, কোনটা নয়, না বুঝেই সুন্দর সুন্দর পাথর দেখলেই ব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে আসতাম। “পোস্টালস্টাম্প”, বিভিন্ন দেশের “কারেন্সি” সংগ্রহ করার মতোই এটিও একটি নেশা হয়ে গেছিলো আমার। এখন বুঝেশুনে পাথর সংগ্রহ করি। অনেকেই পাথরের তিনটি প্রধান প্রকারভেদের সাথে পরিচিত— আগ্নেয়, পাললিক ও রূপান্তরিত শিলা। মূলত সৃষ্টির ভিন্নতা দিয়ে এদের আলাদা করা হয়। আগ্নেয়শিলা সরাসরি ম্যাগমা বা লাভা থেকে সৃষ্টি হয়। পাললিক শিলা অন্য যেকোনো ধরণের শিলা ক্ষয়ের ফলে যে পলল বা ছোট পাথরের টুকরো সৃষ্টি হয় তা জমে তৈরি হয়। অন্যদিকে আগ্নেয় বা পাললিক শিলা মাটির নিচে তাপ ও চাপের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়। এই পাথরগুলি সম্পর্কে বিশদে তথ্য সংগ্রহের জন্য সৃষ্টি হয় তিনটি শাখা। এগুলি হল আগ্নেয়শিলাবিদ্যা, পাললিকশিলাবিদ্যা ও রূপান্তরিতশিলাবিদ্যা। এই শিলাগুলি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন শুধুমাত্র আমাদের অর্থনৈতিক মূল্যবান আকরিক বা রত্নভাণ্ডারের সন্ধানই দেয় না, তার সাথে সাথে বহুমূল্যবান তথ্যও প্রদান করে, যা আমাদের পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়। প্রত্যেকটি পাথর কোটি কোটি বছরের গল্প নিজের মধ্যে জমিয়ে রেখেছে, ভূতত্ত্ববিদদের কাজ হল এই পাথর গুলির মধ্যে লুক্কায়িত গল্পগুলোকে পরতে পরতে উন্মোচন করা।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “ঘাটের কথা” গল্পের মধ্যে পাথরের তৈরি গঙ্গা নদীর ঘাটের উক্তি
“পাষাণে ঘটনা যদি অঙ্কিত হইত তবে কতদিনকার কত কথা আমার সোপানে সোপানে পাঠ করিতে পারিতে।”
একমাত্র ভূতত্ত্ববিদরাই এই ঘটনা পাঠ করতে পারে।
প্রতিটি পাথর অনেকগুলি খনিজের সমষ্টি। প্রতিটি খনিজের নির্দিষ্ট রাসায়নিক ও স্ফটিকের গঠন আছে। খনিজের বিভিন্ন বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে শ্রেণীবিন্যাস ও শনাক্তকরণের কাজ করা হয়। বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য যদি শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট না হয় তাহলে তার আলোক বৈশিষ্ট্য অথবা রাসায়নিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাকে শ্রেণীভুক্ত করা হয়। কোনো পাথরের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গেলে তাতে উপস্থিত খনিজের বৈশিষ্ট্য ও তাদের অন্তর্বর্তী সম্পর্ক জানা খুব জরুরি। এই খনিজ সম্পর্কে জানতে হলে খনিজবিদ্যা শাখাটির স্মরণাপন্ন হতে হবে। খনিজগুলির স্ফটিকগঠন ও তাদের সজ্জা সংক্রান্ত জ্ঞানার্জনের জন্য আমাদের পড়তে হবে স্ফটিকবিদ্যা। প্রাকৃতিক গঠন থেকেই মানুষ নতুন কিছু তৈরির অনুপ্রেরণা সংগ্রহ করে। তাই প্রকৌশলবিদ্যার অনেক শাখাতেও পড়ানো হয়ে থাকে এই স্ফটিকবিদ্যা।
পৃথিবীতে কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়। সবসময় ভাঙা ও গড়ার খেলা চলছে হাতে হাত ধরে। তেমনি পাথরগুলির আভ্যন্তরীন গঠনের সঙ্গে বাহ্যিক গঠনও সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। কর্মব্যস্ত মানুষই শুধু নয়, পাথরও প্রাকৃতিক চাপের প্রভাবে ভাঁজ (Fold) হয়ে যেতে পারে। তবে ভাববেন না তা হঠাৎ করে হয়ে যায়। এই ঘটনাটি ঘটতে এতটাই সময় নেয় যা কোনো মানুষের জীবৎকালে পুরোটা দেখা অসম্ভব। এছাড়া পাথরে চ্যুতি (Fault) বা ভাঙনও (Fracture) দেখা দিতে পারে। ফাটল কখন কিভাবে হল বা পাথরের ভাঁজটা ধাপে ধাপে কিভাবে এই আকার পেলো সেই গল্পের উদ্ধারকার্যের দায়িত্ব থাকে গঠনগত ভূতত্ত্ববিদদের ওপর। আমাদের অনেকেরই হয়তো জানা আমরা অনেকগুলি ভাসমান ‘প্লেট’-এর ওপর অবস্থান করি, যাদের অস্তিত্ব আমরা তখনি জানতে পারি যখন কোনও বড় ভূকম্পন অনুভূত হয়। যে শাখায় এই প্লেটেদের সম্পর্কে আলোচনা হয় সেটি গঠনাত্মকবিদ্যা (Tectonics) নামে পরিচিত। অনেক ভূতত্ত্ববিদই একে আলাদা প্রশাখা হিসেবে না ভেবে গঠনগত ভূবিদ্যার অন্তর্গত বলে মনে করে। পাথরের এই নড়াচড়ার ইতিহাস আমাদের পাথরের আকারগত পরিবর্তনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়। এছাড়াও ফাটল, চ্যুতির বিন্যাস আমাদের কোনও স্থানের স্থিতিশীলতা সম্পর্কে ধারণা তৈরিতে সাহায্য করে। এই তথ্য রাস্তা, রেললাইন নির্মাণের ক্ষেত্রে; বিশেষত পাহাড়ি এলাকায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। খনিজ তেল ও ভূগর্ভস্থ জলের সন্ধান পেতে গঠনগত ভূতত্ত্ববিদদের বিশ্লেষণ অত্যন্ত জরুরি।
পৃথিবীকে আমরা একটা বড় চুম্বক হিসেবে কল্পনা করতেই পারি। এই চুম্বকটি পৃথিবীর চারিপাশে এক চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি করেছে। এই চৌম্বক ক্ষেত্রটি সময় ও স্থানের সাথে সাথে পরিবর্তনশীল।
পৃথিবীকে আমরা একটা বড় চুম্বক হিসেবে কল্পনা করতেই পারি। এই চুম্বকটি পৃথিবীর চারিপাশে এক চৌম্বকক্ষেত্রের সৃষ্টি করেছে। এই চৌম্বকক্ষেত্রটি সময় ও স্থানের সাথে সাথে পরিবর্তনশীল। এছাড়া রয়েছে ভূকম্পন সম্বন্ধীয় কার্যকলাপ, ভূকম্পের তরঙ্গের বিশ্লেষণও। এই সমস্ত বিষয়ে জানার জন্য প্রয়োজন ভূপদার্থবিদ্যার জ্ঞান। ভূপদার্থবিদ্যার প্রয়োগ করে আমরা ভূপৃষ্ঠের নিচের অজানা তথ্যের সন্ধান পাই, যা আমাদের পক্ষে সরাসরি দেখা অসম্ভব। ভূকম্পন সম্পর্কে আগামবার্তা দেওয়া যদিও এখন পর্যন্ত সম্ভবপর নয়, তবুও পৃথিবীতে ঘটে চলা সমস্ত ভূকম্পন সম্পর্কে তথ্য কিন্তু আমরা পেয়ে থাকি ভূপদার্থবিদদের নিকট থেকেই। মহাকর্ষের তারতম্যের ভিত্তিতে মাটির নিচের বস্তুর অবস্থান নির্ণয়ও করেন এঁরা।
আমাদের জন্মদিন তো আমরা সকলেই জানি। কিন্তু পৃথিবীর জন্মদিন? পৃথিবীর উৎপত্তি কিভাবে হল?
আমাদের জন্মদিন তো আমরা সকলেই জানি। কিন্তু পৃথিবীর জন্মদিন? পৃথিবীর উৎপত্তি কিভাবে হল? সে সব রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পাথরে উপস্থিত তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তেজস্ক্রিয় পদার্থের বয়স নির্ণয় পদ্ধতির মাধ্যমে বিভিন্ন পাথরের সময়কাল নির্ণয় করা হয়। সেই বয়স থেকে পৃথিবীর জন্ম তথা পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া বিশেষ বিশেষ ঘটনার সময়কাল নির্ণয় করা হয়। বর্তমানে শুধু পৃথিবী নয়, পৃথিবীর বাইরে থেকে আসা উল্কাপিন্ড ও মহাজাগতিক পদার্থের বিশ্লেষণ করেন ভূরাসায়নবিদগণ।
জুরাসিক পার্ক সিনেমার পর্দায় কোটি কোটি বছর আগের মতো ডাইনোসোরাসদের জীবন্ত করে তোলার পেছনে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম রয়েছে, তারা হলেন জীবাশ্মবিদ। কোনও প্রাণী বা উদ্ভিদের মৃত্যু হওয়ার পর তা যদি সঠিকভাবে পলিরাশির মধ্যে সংরক্ষিত হতে পারে তাহলে তা পরবর্তীকালে পাথরে পরিণত হয় বা তার ছাপ রেখে যায়, এদের জীবাশ্ম বলা হয়। অনেক ক্ষেত্রে পলির বদলে রেজিনের মধ্যেও সংরক্ষিত হতে পারে প্রাণী বা উদ্ভিদ। মাটি খুঁড়ে এই সব জীবাশ্মদের বাইরে বের করা ও সঠিক বিশ্লেষণ করে তাদের শনাক্তকরণ করা ও তাদের বিবর্তন ও সময়কালের ধারণা দেওয়াই হল জীবাশ্মবিদদের যাবতীয় কর্মকান্ড।
“জলই জীবন”। পৃথিবীতে জল বিভিন্ন অবস্থায় (কঠিন, তরল ও গ্যাসীয়) রয়েছে এবং প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় একটি অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় যাতায়াত প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে, যা জলচক্র নামে পরিচিত। পৃথিবীর মোট জলের বেশিরভাগটাই রয়েছে সমুদ্রের নোনা জল হিসেবে। আমাদের ব্যবহারযোগ্য জলের বেশিরভাগটাই ভূগর্ভস্থ জল। এই ভূগর্ভস্থ জলের উৎস, তাদের অবস্থান ও এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বিচরণ সংক্রান্ত আলোচনা করা হয় জলসংক্রান্ত ভূতত্ত্ববিদ্যায়।
জল তো হল মানব সভ্যতার অন্যতম অত্যাবশ্যকীয় পদার্থ। সেই রকমই জীবাশ্ম জ্বালানি (Fossil fuel) বর্তমান মানব সভ্যতার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কয়লা ও খনিজ তেল খুঁজে বের করা এবং মাটির নিচে তাদের অবস্থান কি প্রকারের সে সব নিয়ে আলোচনা করা হয় জ্বালানি বিষয়ক ভূতত্ত্ববিদ্যা শাখায়।
মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে অন্যতম অবদান রয়েছে বিভিন্ন ধাতুরও। সেই সমস্ত ধাতুর উৎস সন্ধান ও সৃষ্টির রহস্য ভেদের জন্য যে শাখার উৎপত্তি তার নাম আকরিক ভূতত্ত্ববিদ্যা।
খুব অল্প পরিসরে ভূতত্ত্ববিদ্যার খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। এগুলি ছাড়াও অনেক খুঁটিনাটি কর্মকান্ড রয়েছে যার সাথে ভূতত্ত্ববিদগণ জড়িত। আরেকটি বিষয় এখানে লক্ষণীয়, বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখাগুলি থেকে স্বতন্ত্র হলেও তাদের প্রয়োগ কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। যেমন গঠনগত ভূতত্ত্ববিদ্যা ও ভূপদার্থবিদ্যাতে পদার্থবিদ্যার প্রয়োগ অধিক, আবার জীবাশ্মবিদ্যার ধারণা তৈরিতে প্রাণিবিদ্যা ও উদ্ভিদবিদ্যার জ্ঞান থাকা জরুরি। অন্যদিকে ভূরাসায়ন, তিন ধরণের শিলাবিদ্যায়, স্ফটিকবিদ্যায় ও জলসংক্রান্ত ভূতত্ত্ববিদ্যায় রসায়নের প্রয়োগ অনেক বেশি। বিজ্ঞানের মূল শাখাগুলির অবদান যেমন ভূতত্ত্ববিদ্যায় রয়েছে, তেমনই ভূতত্ত্ববিদ্যার প্রশাখা গুলিও একে ওপরের সাথে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। যেকোনো প্রশাখার অন্তর্গত জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে অন্য শাখাগুলিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
অনেকেই এবারে জানতে চাইবেন, তাহলে এই ভূতত্ত্ববিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করতে গেলে কি করতে হবে?
অনেকেই এবারে জানতে চাইবেন, তাহলে এই ভূতত্ত্ববিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করতে গেলে কি করতে হবে? আগের সংখ্যাতেই বলেছি খুব কম বিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ববিদ্যা পড়ানো হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় বা মহাবিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরেই মূলত আলাপ হবে বিজ্ঞানের এই শাখাটির সাথে। ভূতত্ত্ববিদ্যা নিয়ে পড়তে হলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়া বাধ্যতামূলক। এর পর স্নাতকে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে। যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় বা মহাবিদ্যালয়ে এই বিষয়ে স্নাতক পড়ানো হয় তাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত খুব পরিচিত নাম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, আশুতোষ মহাবিদ্যালয়, যোগমায়াদেবী মহাবিদ্যালয়, দুর্গাপুর গভঃ মহাবিদ্যালয় ইত্যাদি ছাড়াও রয়েছে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠানগুলি (Indian Institute of Technology or IIT)। স্নাতকের পর স্নাতকোত্তর-এর জন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়য়ে অথবা স্নাতকোত্তরের জন্য যৌথ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান, ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান-এ যোগদান করা যেতে পারে। স্নাতকোত্তরে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ছাত্রী-ছাত্ররা জাতীয়স্তরে যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা (National Eligibity Test or NET) অথবা Graduate Aptitude Test in Engineering (GATE) পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রযুক্তিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর (Mtech) বা গবেষণা (Research) করার জন্য আবেদন করতে পারে অথবা GATE Rank এর ভিত্তিতে Public Sector Undertakings (PSU) গুলিতে চাকুরীর জন্যও আবেদন করা সম্ভব। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা করা হচ্ছে সেখানে থেকে সরাসরি চাকরির সুযোগ পাওয়াও সম্ভব। আরও একটি বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে স্নাতকোত্তরের পরে, সেটি হল “”ভারতীয় ভূবৈজ্ঞানিক সর্বেক্ষণ (Geological Survey of India)””। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরেও অনেক সময় ভূতত্ত্ববিদদের চাকরি দেওয়া হয়।
তাহলে পাথরে ‘প্রাণ’ প্রতিষ্ঠা হল তো?
আশা করি খুব স্পষ্ট না হলেও কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি ভূতত্ত্ববিদ্যা সম্পর্কে।
পাথরের ‘জন্ম’ আছে আবার ‘মৃত্যু’-ও আছে, পাথর নড়াচড়াও করে, আবার পাথর আমাদের আদিম ইতিহাসের গল্পও বলে, প্রাণী, উদ্ভিদদের জীবাশ্ম হিসেবে আগলে রাখে। তাহলে পাথরে ‘প্রাণ’ প্রতিষ্ঠা হল তো?
► লেখা ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক করুন, কমেন্ট করুন, আর সকলের সাথে শেয়ার করে সকলকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
► এলেবেলেকে ফলো করুন।